সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের ফিন্যান্স ব্যাংকিং প্রথম পত্র থেকে সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনী ব্যবসায় অর্থায়ন এর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তোদের জন্য আজ ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় সপ্তাহের ফিন্যান্স ব্যাংকিং অ্যাসাইনমেন্ট সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনী ব্যবসায় অর্থায়ন এর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ এস এসাইনমেন্ট তৈরি নমুনা উত্তর প্রদান করা হলো।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত হয় ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় সপ্তাহে ফিন্যান্স ব্যাংকিং প্রথম পত্র থেকে উল্লেখিত অ্যাসাইনমেন্ট এর মূল্যায়ন গুলো অনুসরণ করে প্রশ্নের ধারাবাহিকতায় সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনী ব্যবসা এর অর্থায়নে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ অ্যাসাইনমেন্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা
দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা প্রথম পত্রের প্রথমে জানাই দেয়া হয়েছে পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের অর্থায়নে সূচনা থেকে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এর আলোকে প্রণীত এই অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অর্থায়নে ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে, অর্থায়নের কার্যাবলী বিশ্লেষণ করতে পারবে, অর্থায়নের নীতিসমূহ ব্যাখ্যা করতে পারবে এবং অর্থায়নের লক্ষ্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নিচের ছবিতে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা দ্বিতীয় সপ্তাহের ফিনান্স, ব্যাংক ও বীমা প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট, লেখার নির্দেশনা সহ যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করা হলো
অ্যাসাইনমেন্ট: সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ;
নির্দেশনাঃ (সংকেত/ধাপ/পরিধি): সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণে –
ক. অর্থায়নের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে;
খ. অর্থায়নের কার্যাবলির বর্ণনা দিতে হবে;
গ. অর্থায়নের নীতিসমূহের বর্ণনা করতে হবে অর্থায়নের লক্ষ্য বর্ণনা করতে হবে;
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা সমধান বা উত্তর
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের ফিন্যান্স, ফিনান্স ব্যাংক বীমা প্রথম পত্র রুবিক্স উল্লেখিত পাঁচটি নির্দেশনার আলোকে একটি নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে যেখানে শিক্ষার্থীরা খুব ভালোভাবে উত্তরটি লিখতে পারবে এবং মূল্যায়নে ভাল ফলাফল পাবেন।
এখানে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ এর দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা প্রথম এসাইনমেন্ট এর নির্দেশনা অনুযায়ী সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করতে পারে।
সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ
তোমাদের জন্য দ্বিতীয় সপ্তাহের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা বিষয়ে প্রথম এসাইনমেন্ট সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনী ব্যবসায় অর্থায়নের সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য নিরূপণ অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর অনুসরণ কর।
ক. অর্থায়নের ধারণা
অর্থায়ন: অর্থায়নের মূল কাজ হলাে তহবিল সংগ্রহ ও তার ব্যবহার ব্যবস্থাপনা এবং বিনি য়ােগ । আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থের প্রয়ে আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্থ ছাড়া সম্পূর্ণ অচল।
এ জন্যই অর্থায়নকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের হৃদপিন্ড বলা হয়। একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কি পরিমাণ মূলধন প্রয়ােজন , কোন কোন উৎস হতে তা সংগ্রহ করার জন্য লাভজনক এবং কোন প্রজেক্ট বা সম্পদে বিনিয়ােগ করলে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হবে, সেই সকল বিষয়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের যে কার্যাবলী তাকেই অর্থায়ন বলে।
সরকারি অর্থায়ন: প্রতিবছর সরকার আয় ব্যয়ের প্রাক্কলিত হিসাব করে বাজেট প্রেস করে। আর সরকারের বার্ষিক আয় কোন কোন উৎস হতে সংগ্রহ করা হবে এবং বার্ষিক ব্যয় কোন কোন খাতে কী পরিমাণে করা ব্যয় হবে তা নির্ধারণ করাকে সরকারি অর্থায়ন বুঝায়।
সরকারি অর্থায়নের মূল লক্ষ্য হলাে সমাজকল্যাণ। . তাই রাস্তা ঘাট , সেতু , সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , সরকারি হাসপাতাল, আইন শৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষা সামাজিক অবকাঠামাে ইত্যাদি।
ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকারকে আয়কর সারচার্জ , মূল্য সংযােজন কর আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড ও ট্রেজারি বিল বিক্রয় ইত্যাদি বিক্রয় করে অর্থ আয় করতে হয়।
যৌথ মূলধনী: ব্যবসায়ের অর্থায়ন এক মালিকানা এবং অংশিদারী ব্যবসায়ে মালিক সরাসরি ব্যবসা পরিচালনায় জড়িত। কিন্তু কোম্পানির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। মালিক তথা শেয়ার মালিক ব্যবসা। পরিচালনায় সরা জড়িত থাকে না। তাই এই অর্থায়নের স্বরূপ সম্পূর্ণ আলাদা।
যাকে আমরা কর্পোরেট সংস্কৃতি অনুমােদন পাওয়ার পর একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি তার অনুমােদিত মূলধনকে ছােট ছােট অংশে বিভক্ত করে শেয়ার হিসেবে জনসাধারনের নিকট বিক্রয় করে। শেয়ার ছাড়া বন্ড ও ডিবেঞ্চার বিক্রয় করেও যৌথ মূলধনি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাধারণ জনগণের নিকট থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে।
সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ
খ. অর্থায়নের কার্যাবলি
একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামােকে বিভিন্ন বিভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে যেমন- ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ক্রয় বিভাগ, বিক্রয় বিভাগ, হিসাব বিভাগ ও অর্থ বিভাগ ইত্যাদি।
এসব বিভাগের মাধ্যমে ব্যবসায় সময়ের প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলি পরিচালিত হয়। কিন্তু এসব বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ বিভাগ হলাে অর্থ বিভাগ।
প্রতিটি বিভাগের সাথে এর যােগাযােগ রয়েছে। নিচে অর্থ বিভাগ তথা অর্থায়নের কার্যাবলি আলােচনা করা হলঃ
(১) তহবিল সংগ্রহ: একজন আর্থিক ব্যবস্থাপকের অন্যতম কাজ হলাে কম খরচের সম্ভাব্য উৎসসমুহ চিন্তিত করে সেখান থেকে প্রয়ােজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা। একটি প্রকল্পে বিনিয়ােগ করার জন্য প্রয়ােজনীয় অর্থের কী পরিমাণ নিজস্ব মূলধন এবং কী পরিমাণ ঋণকৃত মূলধন এর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে তা নির্ধারণ করা অর্থায়নরে প্রধান কাজ।
মালিকের নিজস্ব মূলধন ও ঋণকৃত মূলধনের মিশ্রণকে মূলধন কাঠামাে বলা হয়। যে মিশ্রণটির খরচ সবচেয়ে কম সেটাই কাম্য মিশ্রণ। আর এটা নির্ণয় করার অর্থায়ন কাজ। কোম্পানি তে শেয়ার মালিকদের আয় ও ঝুঁকির রক্ষা করে।
(২) মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত : মূলধন বাজেট সিদ্ধান্ত বলতে একটি প্রকল্প চিহ্নিতকরণ , বিশেস্নষণ ও নির্বাচন করাকে বুঝায়। অর্থাৎ মূলধন বাজেটিং বলতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে বুঝায়।
একটি প্রকল্পের জন্য কি পরিমাণ মূলধন প্রযােজন প্রকল্পের কার্যকাল , ঐ প্রকল্প থেকে ভবিষ্যতে প্রত্যাশিত আয় , আযের অনিশ্চয়তা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা ও মূল্যায়ন করে বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
তাই দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের পূর্বে প্রকল্পের মূলধন বাজেটিং এর মাধ্যমে আর্থিক সম্ভাব্যতা যাচাই করে নেওয়া অর্থায়নের অন্যতম কাজ।সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। তাই দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের পূর্বে প্রকল্পের মূলধন বাজেটিং এর মাধ্যমে আর্থিক সম্ভাব্যতা যাচাই করে নেওযা অর্থায়নের অন্যতম কাজ।
(৩) স্বল্পমেয়াদি সম্পদ ব্যবস্থাপনা : একটি প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী ও চলতি এই দুই ধরনের সম্পদ থাকে। স্থায়ী সম্পত্তি চলতি সম্পত্তিতে সময় করে অর্থ বিনিয়ােগ করতে হয়। এজন্য একজন আর্থিক ব্যবস্থাপককে যে কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে চলতি মূলধন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হয়।
চলতি মূলধনে বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে কোম্পানির মুনাফা অর্জন ক্ষমতা ও তারল্য এর মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করাই প্রধান কাজ। স্বল্পমেয়াদি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলতে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ মজুদপন্য , প্রাপ্য বিল ইত্যাদির ব্যবস্থাপনাকে বুঝায়।
কী পরিমাণ কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য অর্থ কোথা হতে সংগ্রহ করা যাবে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে চলতি বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত বলে।
(৪) তহবিল মুনাফা বন্টন : চলতি ব্যবসাযে মুনাফা হলে তা মালিকের মাঝে বিতরণ করা হয়। এটিকে লভ্যাংশ বা উরারফবহফ বলে । ব্যবসা প্রসারের জন্য এটি অর্থায়নের একটি উৎস হিসেবে কাজ করে।
অর্জিত মুনাফার কি পরিমাণ শেয়ার মালিকদের মধ্যে বন্টন করা হবে এবং কি পরিমাণ কোম্পানিতে রেখে দেওয়া হবে তা ঠিক করে নিতে হয়। তাই যে লভ্যাংশ বন্টন হার কোম্পানির শেয়ার মালিকদের সন্তুষ্ট রেখে এবং ভবিষ্যতের বিনিয়ােগ সুযােগের সদ্ব্যবহারের সংস্থান রেখে শ্যের মূল্য সর্বাধিক করতে পারে তাই কাম্য লভ্যাংশ বন্টন কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানের স্থায়ীত্ব এবং বােনাস শেয়ার ও লভ্যাংশ প্রদানের ব্যাপারে আর্থিক অবকাঠামাে প্রদান করে থাকে।
সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ
গ. অর্থায়নের নীতিসমূহ
নীতিমালা হল কার্যসম্পাদনের কাঠামাে। সুতরাং নীতিমালা বলতে এমন কিছু স্টেলিক বিষয়কে বুঝায় যা নির্দিষ্ট কোন কার্য সম্পাদন করার ক্ষেত্রে অনুসরন করা হলে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয়।
তাই একজন আর্থিক ব্যবস্থাপককে বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত এবং অর্থায়নের অন্যান্য কাজ সম্পাদনের সময় অর্থায়নের এসব নীতিমালা বিবেচনা করতে হয়। নিয়ে অর্থায়নের কয়েকটি গুরম্নত্বপূর্ণ নীতি সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে পরিবর্তন হয়।
১) অর্থের সময়মূল্য নীতি: এই নীতি সব ধরনের বিনিয়ােগের সাথে জড়িত। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে টাকার মূল্য প কারণ আজকের ১০০ টাকা একবছর পরের ১০০ টাকার সমান নয়। কেননা বিনিযােগের যথার্থ মূল্যায়ন একটি নির্দিষ্ট বাট্টাহার মাধ্যমে অর্থের সমযমূল্য নির্ধারণ করা হয়।
একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক তখনই একটি বিনিয়ােগ সিদ্ধন্ত গ্রহণ করে যখন উক্ত প্রকল্পের প্রত্যাশিত নগদ প্রবাহের বাট্টকৃত মূল্য প্রাথমিক বিনিয়ােগের চেয়ে বেশি হয়। কারণ আপাতদষ্টিতেবটিকরণ ছাড়া নগদ প্রবাহ বেশি মনে হলেও তা প্রকত পক্ষে বিনিযােগের সম্যমূল্য নির্ধারণ করা হয়।
২) তারল্য ও মুনাফা : আমরা প্রতিনিযুত শামিল আন্দোনের খবর পত্র পত্রিকায় দেখে থাকে। যেমন ধরমন , বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানা বন্ধ করে নেওয়ার খবর। অর্থাৎ এ প্রতিষ্ঠানটি তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে | তারল্যের বিষয়টি খুব গুরম্নত্বপূর্ণ। কেননা বেশি তারল্য থাকলে খরচ বেড়ে যায় আবার কম হলে ব্যয় নির্বাহ
৩) ঝুঁকি – মুনাফা নীতি : একজন পাইলট বেতন ও ভাতাদি মিলিয়ে পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা ভােগ করে। কারণ তার কাজের মধ্যে একটি ঝুঁকি রয়েছে। অর্থাৎ ঝুঁকি গ্রহণের সাথে আয়ের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ঝুঁকি ও আয়ের মধ্যে বিপরিত সম্পর্ক বিদ্যমান। বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক ঝুকি ও আয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনপূর্বক বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কওে থাকে। বিনিয়ােগ হতে প্রত্যাশিত মুনাফা অপেক্ষা প্রকৃত মুনাফা কম হওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলা হয়।
৪) পাের্টফলিও বৈচিত্রায়নের নীতি : একজন বিনিয়ােগকারী তার সমস্ত অর্থ একটি সম্পদে বিনিয়ােগ না করে একাধিক সম্পদে বিনিয়ােগ করার মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করার প্রচেষ্টাকে পাের্টফলিও বৈচিত্রায়নের নীতি বলা হয়। অর্থায়নে একটি বহুল প্রচলিত মতবাদ হচ্ছে সম্পদ ব্যবস্থাপন ক্ষেত্রে এ নীতির ভূমিকা অপরিসীম।
ধরুন আপনার সব টাকা মানিব্যাগে রেখেছেন। এটি হারিয়েগেলে পুরাে টাকাই খােয়া যাবে আর যদি কিছু টাকা মানিব্যাগে , কিছু প্যান্টের পকেটে কিছু সার্টের পকেটে রাখা হলে ম্যানিব্যাগ হারালে গেল পুরাে টাকা খোয়া যাবে না এটাই মুলত বৈচিত্রায়ন।
ঘ. অর্থায়নের লক্ষ্য সমূহ
(১) মুনাফা সর্বাধিকরণঃ কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মালিকদের জন্য মুনাফা অর্জন এবং তা সর্বাধিকরণ করা। মুনাফা সর্বাধিকরণের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক ঐ ফার্মের বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত , অর্থসংস্থান সিদ্ধান্ত ও সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করেন।
(২) সম্পদ সর্বাধিকরণঃ একটি ফার্মের সবচেয়ে গ্রহণযােগ্য এবং যথাযথ উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ ফার্মের শেয়ার হােল্ডারদের তথা, ফার্মের সম্পদ সর্বাধিকরণ বা নীট বর্তমান মূল্য সর্বাধিকরণ।
কোম্পানির বা ফার্মের সম্পদ সর্বাধিকরণ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঐ কোম্পানি তার আর্থিক কর্মকান্ড বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।
এটি মুনাফা সর্বাধিকরণের উদ্দেশ্যের দুর্বলতাগুলি দূর করে সঠিকভাবে সম্পদের পরিমাপ করতে সক্ষম হয় বলে এ উদ্দেশ্যটি একটি সুষ্ঠু ও যুক্তিসঙ্গত উদ্দেশ্য হিসেবে সার্বজনীনভাবে গৃহীত।
এটি ফার্মের মুনাফা ছাড়াও অন্যান্য গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরম্নত্ব আরােপ করে। ফার্মের দীর্ঘমেয়াদী মূল্য এর প্রবৃদ্ধি বিনিয়ােগকারীদের ঝুঁকির পরিমাণ, এর শেয়ার মূল্য এর শেযার মূল্য, লভ্যাংশ ইত্যাদি দ্বারা এ উদ্দেশ্য প্রভাবিত হয়।
সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিরূপণ
ঙ. সরকারি অর্থায়ন এবং যৌথ মূলধনী ব্যবসায় অর্থায়ন এর বৈসাদৃশ্য
প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।